,

বালু উত্তোলনে মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙন

জেলা প্রতিনিধি, মাগুরা:  মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় পদ্মার শাখা মধুমতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের হরেকৃষ্ণপুর ও পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঝামা এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে সড়ক, ফসলি জমিসহ ৪০টি বসত বাড়ি বিলীন হয়েছে।

রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর ও ঝামা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদী পাড়ের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের শিকার হয়েছে। অনেক বাড়িঘর, ফসলি জমি ও ঝামা বাজারের সড়কটির অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

দেখো গেছে, হরেকৃষ্ণপুর এলাকায় মধুমতি নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে একটি কার্গোতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পরে সেই বালু খোলা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু ওই একটি মেশিন দিয়ে নয় এভাবে আরও সাত থেকে ১০টি খননযন্ত্র মধুমতি নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজ করছে।

ড্রেজার ও জাহাজের তিনজন মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের জাহাজ আছে। এর সঙ্গে একটি খননযন্ত্র আছে। এর সাহায্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন তারা।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ‘মধুমতি নদীতে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমোদন নেই। যদি কেউ তুলে থাকেন, তা অবৈধ।’

হরেকৃষ্ণপুর দক্ষিন পাড়ার বাসিন্দা সবুজ মোল্যাসহ কয়েকজন বলেন, মধুমতি নদী তীরবর্তী মহম্মদপুর সদর, বাবুখালী ও পলাশবাড়ীয়া ১০টি পয়েন্টে অবৈধভাবে তিন মাস ধরে বালু উত্তোলন হচ্ছে। বালু উত্তোলন বন্ধ করতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। বালু উত্তোলনের সাথে প্রভাবশালী লোকজন জড়িত থাকায় প্রতিবাদ করলে উল্টো মারধরের শিকার হতে হয় তাদের।

স্থানীয়রা জানান,  অবৈধ বালু উত্তোলন ব্যবসা ঘিরে প্রতিবছর অর্ধশত কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। এসব টাকার ভাগ পৌঁছে যায় প্রায় সবজায়গায়।  বালু উত্তোলন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাই চিহ্নিত ও পরিচিত হলেও ভয়ে তাদের নাম বলতে চান না কেউ।

এই বিভাগের আরও খবর